কলকাতায় দূষণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। কিছুদিন আগেই বিশ্বের দূষিত শহরগুলির মধ্যে তৃতীয় নম্বরে ছিল কলকাতা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবেশবিদরা। তাপমাত্রা নামতেই কলকাতায় দূষণ মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পার্শ্ববর্তী বিধাননগর এলাকার দূষণও ব্যাপকভাবে বেড়েছে এ বছর। বিশেষ করে গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যে ৬ টার দিকে সল্টলেকে বাতাসের গুণগতমান মারাত্মকভাবে নেমে গিয়েছিল। বাতাসের মানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) পৌঁছেছিল ৩০২ এ। অথচ তা গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। আবার নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাতাসের একিউআই ২৫০ এর কাছাকাছি পৌঁছেছিল। ফলে কী কারণে দূষণ বাড়ছে তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে বিধাননগর পুরসভা।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগেই দূষণে জেরবার কলকাতা, লজ্জার রেকর্ড বালিগঞ্জে
জানা গিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ করা উচিত? কেন দূষণ বাড়ছে? তা জানতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুরসভা। যদিও পরিবেশকর্মীদের একাংশের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে দূষণ বাড়ছে বিধাননগরে। গাছ কাটার জন্য মূলত বেআইনি নির্মাণকে দায়ী করেছেন তারা। তাদের মতে, বেআইনি বহুতল নির্মাণের সময় উচু গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পিচ গলিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্যও বাতাসে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা। পরিবেশ কর্মীদের একাংশের মতে, আর পাঁচটা শহরের থেকে বিধাননগরে সবুজের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন সেখানে দূষণ বাড়ছে তা নিয়ে কারণ জানা প্রয়োজন রয়েছে। তাদের মতে, শুধুমাত্র কমিটি গঠন করলেই হবে না, তাদের দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে হবে। তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং রোগ দেখা দেবে।
উল্লেখ্য, কলকাতায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে স্প্রিঙ্কলার চালানো, গাছে জল দেওয়া, রাস্তাঘাটে ধুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত জল দেওয়া, আগুন নেভানো প্রভৃতি পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। যদিও বিধান নগরে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ করা হবে তা রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত হবে।