বয়স বাড়লেই অনেকেই পরিবারের বোঝা হয়ে যান। আর শরীর খারাপ হলে তো কথাই নেই। এদিকে বয়সজনিত নানা সমস্য়ার জেরে ক্রমেই কাবু হয়ে যান প্রবীণ ব্যক্তিরা। তবে এবার সেই বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসার জন্য বড় উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আসলে সরকারি হাসপাতালের ভিড়ের মধ্যে চিকিৎসা করাতে ভরসা পান না না বয়স্ক ব্যক্তিরা। কিছু হাসপাতালের ওপিডিতে জেরিয়াট্রিক বিভাগ থাকলেও বয়স্কদের জন্য় আলাদা ওয়ার্ড বিশেষ দেখা যায় না। তবে এবার জেলাস্তরের হাসপাতালেও বয়স্কদের জন্য় আলাদা ওয়ার্ড করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
তবে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এখনই এই চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি হবে এমনটা নয়। ধাপে ধাপে এটি তৈরি হবে। পাশাপাশি এই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শুধু কলকাতা কেন্দ্রিক করা হবে এমনটাও নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই বয়স্ক মানুষরা যাতে এই সুবিধা পান সেটা দেখা হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একলা হয়ে যাচ্ছে বৃদ্ধ বৃদ্ধারা। অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁদের দেখার মতো কেউ নেই। হতাশায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। এর সঙ্গেই নিঃসঙ্গতা চেপে বসে তাঁদের মনে। তবে এবার সেই সহায়সম্বলহীন বয়স্ক মানুষদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। এমনটাই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কাজ কতটা হবে তা নিয়ে সংশয়টা অবশ্য থেকেই গিয়েছে। অনেকের মতে, সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষেরই চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা অন্তরায়। সেক্ষেত্রে বয়স্করা কি প্রকৃত যত্ন পাবেন?
তবে সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের উপদেষ্টা তথা প্রবীণ চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় এনিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর এনিয়ে বৈঠকও হয়। তারপরই রাজ্যে বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো তৈরির ব্যাপারে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। সূত্রের খবর, আপাতত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৬টি হাসপাতালে বয়স্কদের জন্য বিশেষ ইউনিট তৈরি করবে রাজ্য সরকার। এটা হল চিকিৎসা পরিকাঠামোর প্রথম দিক।
দ্বিতীয়ত বয়স্কদের পাশে থাকার জন্য আশা কর্মীদেরও যুক্ত করা হবে। কোনও সহায় সম্বলহীন বয়স্ক মানুষের যদি হাসপাাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ না থাকে তবে সহায়তা করবেন আশা কর্মী। প্রয়োজনে তিনিই সেই অসুস্থ মানুষকে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন। এদিকে তাঁদের বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া ও হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অ্য়াম্বুল্য়ান্সেরও ব্য়বস্থা করা হবে।