সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে বড় স্বস্তি পেলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তবে তিনি শুধু সাংসদ নন, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। তবে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের চাকরি প্রতারণা মামলায় অবশেষে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে রায়ের জেরে বিরাট স্বস্তি পেল গেরুয়া শিবির। কোচবিহারের বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্যেও এবার খুশির হাওয়া। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে এই রায় যেন নতুন করে খুশি এনে দিল গেরুয়া শিবিরে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিশীথ প্রামাণিক আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে নিশীথ প্রামাণিক যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে একের পর এক মামলা করা হয়েছিল। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল। এখনও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। হাইকোর্ট এবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আট সপ্তাহের জন্য় এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই ২০১৯ সাল থেকে চলছিল এই মামলা। সেই বছর কোচবিহারের দিনহাটা থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। এরপরই এনিয়ে মামলা দায়ের হয়। এদিকে সেই ২০১৯ সাল থেকে চলছিল এই মামলা। কিন্তু এতদিন পরেও পুলিশ সেই মামলায় চার্জশিট দিতে পারেনি বলে খবর। তবে বিচারপতি আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
নিশীথ প্রামাণিক। একটা সময় তিনি তৃণমূলেই ছিলেন। যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। শাসকদলের তৎকালীন জেলা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সেই সময় যথেষ্ট দ্বন্দ্ব ছিল। এরপর ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে চলে আসেন। এরপর লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়ার জন্য় তিনি টিকিটও পেয়েছিলেন। আর সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয় বলে অভিযোগ। শিবির বদলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
তার মধ্য়ে অন্য়তম ছিল এই চাকরি প্রতারণার মামলা। এক মহিলা এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মামলা চললেও পুলিশ এখনও সেই মামলায় চার্জশিট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। এবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।