দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় বিজেপির তিন নেতাকে শো-কজের আয়োজন চলছে বলে খবর ছড়িয়েছিল তা গুজব বলে উড়িয়ে দিল দল। শনিবার বিকেলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে ওই খবরের কোনও ভিত্তি নেই। তবে দলের অন্দরে প্রকাশ্যে বিদ্রোহে বিজেপি যে অস্বস্তিতে তা এদিনও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের কয়েক ঘণ্টা আসে ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করে রাজ্যে দলের পরিচালন প্রক্রিয়া ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। তিনি দিল্লি গিয়ে নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন বলে দাবি করেন সৌমিত্র। তবে তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন বলেও জানান।
ওদিকে মন্ত্রিসভার রদবদলে মন্ত্রিত্ব হারান আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এর পর তিনিও ফেসবুক পোস্টে সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মন্তব্য করেন। বাবুল দাবি করেন, তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সেই তালিকায় নাম লেখান যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক লাইভে তিনি প্রশ্ন করেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তের মতো নেতারা দলবিরোধী মন্তব্য করলেও কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না দল?
এর পরই এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য দলে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। শনিবার খবর মেলে, তিন নেতাকে শো কজ করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু বিজেপির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই খবর অস্বীকার করা হয়।
রাজ্য বিজেপির অন্দরের খবর, ‘দলীয় নেতৃত্ব শো-কজের পক্ষে হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, বাবুল, সৌমিত্রদের শো কজ করলে দলে ডামাডোল আরও বাড়বে। তাতে আখেরে লাভ হবে তৃণমূলেরই। তাই এক পা এগিয়ে ২ পা পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।’