নগরের নটি থেকে কেডিএসএ—এমন সব মন্তব্য করে একুশের নির্বাচনের পর রাজ্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে ছিলেন তিনি। এবার সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় কিংবা অরবিন্দ মেননরা কোথায়? বাংলায় নির্বাচন উত্তর হিংসার অভিযোগ তুলে দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিলেন তথাগত রায়। শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যবার্ষিকীতে এবার দলের নেতাদের ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। ফলে ঘটা করে একের পর এক বিজেপি নেতা–নেত্রী মাল্যদান করলেও তথাগত–কাঁটা গিলতে পারছেন না বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন শ্যামাপ্রসাদের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের পর তথাগত রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজ্যে যেভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, বাড়ি লুঠ, বাড়িঘর ভাঙচুর হচ্ছে তাতে রাজ্যে কোনও প্রশাসন আছে বলে আমি মনে করি না। এখন অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় কোথায়? সেটা তাঁদের জিজ্ঞেস করুন। তাদের এখন রাজ্যে মানুষের পাশে থাকার দরকার ছিল। কিন্তু তাঁরা কোথায়?’ বিজেপির জেলার নেতাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, রাজ্য নেতাদের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে না। এবার তা স্বয়ং বর্ষীয়ান নেতার মুখে শোনা যেতেই বিজেপির রাজ্য নেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্যে আসেননি কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শিবপ্রকাশের বৈঠকেও তাঁকে দেখা যায়নি। আগামী ২৯ জুনের রাজ্য কমিটির বৈঠকেও তাঁর অনুপস্থিতির সম্ভাবনার খবরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই শহরে–বন্দরে–দলীয় কার্যালয়ে ‘টিএমসি সেটিং মাস্টার’ বলে কৈলাসের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা ছিল, ‘গো ব্যাক’।
কয়েকদিন আগেই একটি বিজেপি কর্মীর টুইটকে হাতিয়ার করে কৈলাসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। এমনকী কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কৈলাসকে ‘বোকা বিড়াল’ বলে তোপ দাগেন তিনি। তবে কৈলাসকে নিয়ে দল অন্দরে যে ক্ষোভ চড়ছে, এই পোস্টার তার প্রমাণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।