সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকির সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটি ভিডিয়ো। তারপরই আব্বাসকে নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আব্বাসের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। পরে অবশ্য বিতর্ক ধামাচাপা দিতে আইএসএফ-এর তরফে হিংসার নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাও বিতর্ক এড়াতে পারছেন না ভাইজান। জানা গিয়েছে, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
আব্বাস সিদ্দিকির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ১৫৩এ এবং ২৯৫এ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। একটি ফেসবুক পোস্ট করে তরুণজ্যোতি অভিযোগ করেন, আব্বাসের উস্কানিমূলক বক্তব্য হিন্দু ভাবাবেগগে আঘআত করেছে এবং রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে।
বিজেপি নেতা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী, বামফ্রন্টের নতুন সেক্যুলার মুখ (দুষ্টু লোক বাবা বলে) গতকাল ধর থেকে গলা আলাদা করার হুমকি দিয়েছে। হনুমানজীর মূর্তিকে অপমান করেছে, পুলিশ পদক্ষেপ নেবে? আমি একজন হিন্দু এবং আমার কর্তব্য ছিল অভিযোগ করা। আমি করেছি.... দেখি পুলিশ কী করে....'
এর আগে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে ভাইজানকে বলতে শোনা যায়, ‘সব মেনে নেব কিন্তু ধর্মের অপমান মানব না।’ এছাড়া বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক বক্তব্য শোনা যায় আব্বাস সিদ্দিকির সেই বক্তব্যে। যা ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়ে সংযুক্তমোর্চায় আইএসএফ-এর জোটসঙ্গী সিমিএম ও কংগ্রেসও।
এদিকে কংগ্রেস এই বিষয়ে নিন্দা জানালেও সিপিএম এই বিষয়ে স্পিক টি নট। উল্লেখ্য, সিপিএম-এ হাত ধরেই জোটে এসেছিল আইএসএফ। ব্রিগেড সমাবেশে সিপিএমের দৌলতে ভাষণ রেখে বাংলার রাজনৈতিক পরিসরে সাড়া ফেলেছিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। তবে সাম্প্রতিক ভাইরাল ভিডিয়োর পর প্রশ্ন উঠেছে আব্বাসের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। এই আবহে সিপিএমের যুক্তি, আব্বাস সিদ্দিকি সংযুক্ত মোর্চায় নেই। উনি একজন ধর্মগুরু। ওনার ভাই বিধায়ক।