কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ফতোয়া মেনে অবশেষে বাংলা ছেড়ে সিকিমে পা রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য রাজনীতি থেকে তাঁর দূরত্ব বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। রবিবার বাংলা ছেড়ে সিকিমের রংপোতে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। সেখানে পৌঁছেই হিমালয়ের কোলে নিভৃতে কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তিনি?
সম্প্রতি তাঁকে বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তিনি মোটেও খুশি নন। মোট আট রাজ্যের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে সঁপে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলা নয়। অথচ তাঁর হাত ধরেই বঙ্গ–বিজেপি রাজ্য–রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল বলে দিলীপ ঘোষের দাবি। রাজ্য নেতৃত্বে এখন যাঁরা আছেন তাঁরা তাঁর মতো সংগঠন গড়ে তুলতে দক্ষ নন বলেই তিনি মনে করেন। তাই তিনি বলেছিলেন, সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা কম। শুভেন্দু অধিকারী শুধুই মেদিনীপুরের নেতা। জননেতা নন।
ঠিক কী দেখা গিয়েছিল? একুশের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়। তার পর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়। ক্ষমতা বাড়ানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর। আর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট দিয়ে দিলীপ ঘোষ নালিশ ঠুকেছিলেন। তারপরও তাঁকেই চলে যেতে হল।
ঠিক কী বলছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? আগে বলেছিলেন, যেখানে ইচ্ছে হবে যাবো। কে আমায় আটকাবে? তারপরেই বাংলা নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটার নির্দেশ আসে। এখন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গোটা দেশেই ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ শুরু করছে বিজেপি। তাই দু’দিনের সিকিম সফরে গিয়েছেন বঙ্গ দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দু’দিন থেকেই বাংলায় ফিরব। নড্ডাজির বাংলা সফর রয়েছে। তার পর আবার আমার সফর শুরু হবে।’