আবার একাধিক বিষয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। শুক্রবার তিনি মহারাজের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘সৌরভ বাংলার আইকন। শুভেচ্ছা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন ভালো কথা। রাজনীতির বাইরে অনেক ব্যক্তি আছেন তাঁদেরও যেন মনে রাখেন। শুধু রাজনীতির জন্য কিছু বললে মানুষ ভালো চোখে দেখে না। হতেই পারে রাজ্যসভার সাংসদ সৌরভ। হলে ভালো কথা।’
বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় মন্ত্রিত্ব থাকাকালীন তো উনি(মুখ্যমন্ত্রী) ওনার লোকেরা গালমন্দ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেতে হত রোজ। এখন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। বাবুল সক্রিয় মন্ত্রী ছিলেন।’ সদ্য নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হওয়ায় বাংলা থেকে চারজন বিজেপি সাংসদকে মন্ত্রী করা হয়েছে। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘নতুন মুখ, অল্পবয়স ভালো কথা। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলছেন কেন পূর্ণমন্ত্রী করা হলো না? তার জন্য ধর্ণা দিতেও উনি পারেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখুন। ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না সেটা দেখুন।’
ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়ে এদিনও কড়া সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘জনসংখ্যার নিরিখে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন দেয় রাজ্যকে।কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ লক্ষ ভ্যাকসিন দিচ্ছে। কিভাবে কোথায় ব্যবহার করবেন সেটা ওনারা দেখুন। তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টির লোকেরা ভ্যাকসিন পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আত্মীয়–স্বজনেরা তো টিকা পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন কোথায় পাচ্ছে?’
হোমের কাটমানি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এতদিন আমরা বলতাম কাটমানি নিয়ে। অনেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করত, এখন আদালত বলছে। আমার সাংসদ এলাকাতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এসব করে। এখন সাধারণ মানুষ জনস্বার্থ মামলা করছে তাই আদালতের মাধ্যমে সবটা প্রকাশ্যে আসছে। সরকার কতটা দুর্নীতিবাজ তা সামনে আসছে।’
এদিন অবশ্য দিলীপ ঘোষ দলে শুভেন্দুর উত্থান নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন, ‘বিজেপিতে যোগ্য লোক যোগ্য দায়িত্ব পায়। নতুন যুবদের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংগঠনে ও নিষ্ঠাবান পরিশ্রমীদের সামনে জায়গা দেওয়া হয়। আগামী দিনেও সেটা হবে।’ অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিলেন দলের অন্দরেও এবার অনেক পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটা কেমন পরিবর্তন তা জানাননি।