প্রয়াত বিজেপি নেতা মানস সাহার দেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারসহ অন্যান্য নেতারা। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিজেপি নেতাদের বাধা দেয় পুলিশ। বাধা টপকে দেহ নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগিয়ে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। বিক্ষোভে সামিল হন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও।
অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন তৃণমূলের মারে আহত হয়েছিলেন মগরাহাটের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন। ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বুধবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বৃহস্পতিবার মানসবাবুর দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে ফুল মালা দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতাকর্মীরা। এর পর দেহ নিয়ে এসপ্ল্যানেড হয়ে ভবানীপুরের দিকে রওনা দেন তাঁরা। ভবানীপুরে পৌঁছে দেহ শববাহী গাড়ি থেকে বার করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিছু দূর এগোতেই তাঁদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। বিক্ষোভে সামিল হন অর্জুন সিং, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এর পর সেখানে আসেন আরও পুলিশকর্মী। বিজেপি নেতাকর্মীদের আটকান তাঁরা। ফের মৃতদেহ তোলা হয় শবদেহবাহী শকটে।
সংবাদমাধ্যমকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে একটা সাধারণ প্রশ্ন করতে এসেছিলাম। আর কত লাশ দেখলে উনি শান্ত হবেন? ভোটের ফলপ্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী হিংসা জড়াতে বারণ করেছিলেন। মানসদার মুখটা দেখে মনে হচ্ছে সেকথা শুনে উনি হাসছেন।’ পালটা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘মানসবাবুর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় মানসবাবুর মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।’