বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > বগটুইকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিজেপি, চাপ তৈরি করতে চায় নেতৃত্ব

বগটুইকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিজেপি, চাপ তৈরি করতে চায় নেতৃত্ব

 শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি সৌজন্যে এন আই। (Utpal Sarkar)

সুকান্ত মজুমদার এই দাবি করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বুঝিয়েছেন যে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে।

রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি আনিস খানের হত্যার ঘটনায় সেভাবে ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এবার তা থেকে শিক্ষা নিয়েই বগটুই কাণ্ডকে হাতিয়ার করে এখন আবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বিজেপি। আনিস খান খুনের ঘটনায় সেভাবে সরব হতে দেখা যায়নি বিজেপিকে। সংখ্যালঘু হওয়ায় বিজেপি অবশ্য সেই ঘটনায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। যদিও পরে অবশ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে সিপিএম আন্দোলনের রাশ নিজেদের হাতে নিয়েছিল। বগটুইয়ের ঘটনায় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলেও তাই এই ঘটনায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছে বিজেপি।

এই পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি আরও জোরদারভাবে শুরু করেছে বিজেপি। বগটুইয়ে ৮ জন খুন হলেও শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দাবি করেছেন গত একসপ্তাহ রাজ্যে ২৬ জনের খুনের ঘটনা ঘটেছে। সুকান্ত মজুমদার এই দাবি করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বুঝিয়েছেন যে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী গত বুধবার বগটুই যাওয়ার পথে বলেছিলেন, ‘রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ২৬ জন খুন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।’ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কোনও রাজ্যে এক সপ্তাহে ২৬ জনের খুনের ঘটনা ঘটেনি।’ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় রাজ্যপালকেও। এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছ থেকে তথ্য তলব করেছেন রাজ্যপাল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অনুরোধ করেন যে ‘নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে দিন’। তার উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, ‘ রাজ্যপাল হয়ে আমি কোনও ভাবে চুপ থাকতে পারি না।’

এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপি রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সেই আন্দোলন জোরদার করতে পারেনি। কিন্তু এবার বগটুইকে সামনে রেখে আন্দোলনকে সাংগঠনিক চেহারা দিতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এরপরেই সরব হতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে। তবে তিনি বাংলাকে তদন্তে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। এ নিয়ে অবশ্য পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যারা জন্য গুজরাটের দাঙ্গা হয়েছিল তার এ বিষয়ে নাক না গলানোই ভালো।’

বন্ধ করুন