করোনা ও আমফানের জেরে ভোটের রাজনীতি কিছুটা বিরাম পেলেও রাজনৈতিক আকচাআকচির অন্ত নেই বঙ্গে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে নিত্যদিন লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার নিজেদের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। #AarNoiMamata নামে এই কর্মসূচির প্রথম ধাপে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ৯ দফা চার্জশিট দেন দিলীপ ঘোষ। এর পরই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে দমন চালানোর অভিযোগ আনেন তিনি। সঙ্গে লকডাউন নিয়ে সার্বিক অসহযোগিতার ডাক দেন দিলীপবাবু।
বুধবার দলের রাজ্য সদর দফতরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের সব জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কর্মীদের বলেছি, কোনও কোয়ারেন্টাইন মানব না। কোনও লকডাউন মানব না। কাল থেকে আমরা সব জায়গায় যাব। দেখি মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে সামলান, না করোনাকে সামলান।’
এদিন দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, ‘আমফান দুর্গতদের সাহায্য করতে গেলে বিজেপির সাংসদ, নেতা, মন্ত্রীদের বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। আমার গাড়ি ২ বার আটকেছে। আজ জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়কে আবার আটকেছে। বনগাঁয় শান্তনু ঠাকুরকে আটকেছে। সুন্দরবনে জেটিতে নামার সময় বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকে আটকানো হয়েছে। আমফান, করোনা, প্রবাসী শ্রমিকদের সাহায্যের বদলে পুলিশকে বিজেপির পিছনে লাগিয়ে রেখেছেন মমতা।’
দিলীপবাবুর অভিযোগ, ‘তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা লোক লস্কর নিয়ে জেলায় জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের বেলা কোনও লকডাউন হয় না। যত লকডাউন বিজেপির বেলায়।’
রাজ্যে দুর্যোগের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সুর ফের চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই প্রচারের সুর বাঁধতে শুরু করেছে তারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিকে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে জনমানসে তৈরি হওয়া ক্ষোভকে হাতিয়ার করে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বৈতরণী পেরোতে চায় বিজেপি।