সম্প্রতি জেলা সভাপতি ও মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদল করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই দলের অন্দরে বেড়েছে কোন্দল। এনিয়ে দলের কর্মীদের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধদের সামাল দিতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। এরফলে দলে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তার জন্য জেলায় জেলায় গ্রিভান্স সেল তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই সেল কর্মীদের অভিযোগ শুনে সমস্যার সমাধান করবে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফিরে ঝড়ের আগের নিঃস্তব্ধতার মতো চুপ দিলীপ
প্রসঙ্গত, জেলা এবং মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে অনেক বিজেপি নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে ফলে সেই সমস্ত নেতা বা কর্মীদের মনে মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রিভান্স সেল তৈরির পাশাপাশি জেলা এবং মণ্ডল কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদেরও বিভিন্ন কমিটিতে পুনর্বাসন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাদ পড়া কয়েকজন জেলা সভাপতিকে রাজ্যের কার্যনির্বাহিনী কমিটিতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে হবে।
আগামী বছরে রয়েছে লোকসভা ভোট, তাই দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও যাতে তা প্রকাশ্যে না এসে সমাধান করা যায়। সেই চেষ্টায় করতে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে সেক্ষেত্রে জেলা স্তরের নেতারা সংগঠন নিয়ে এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে সাহায্য কমিটির অনুমোদনের পরে সিদ্ধান্ত হবে ৪৩ টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে যার মধ্যে ১৪ টি জেলার সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ডায়মন্ড হারবার জেলা বিজেপির নেতাকর্মীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। কিছুদিন আগেই এই দুই জেলার কর্মীরা সল্টলেক পার্টি অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এই অবস্থায় কর্মীদের কী অভিযোগ রয়েছে তা সবই জানতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ লোকসভায় ভালো ফল করতে গেলে সে ক্ষেত্রে কোন্দল থামাতেই হবে। পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। দলীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় ভালো অবস্থানে নেই বিজেপি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে মহাজোট গঠন করেছে বিরোধীরা যার নাম হল ইন্ডিয়া। এই অবস্থায় লোকসভায় ভালো ফল করতে গেলে দলের অন্দরের কোন্দল কোনওভাবেই যে চলবে না তা মেনে নিয়েছে বিজেপির একাংশ। তাই নিয়ে দলের কোন্দল মেটাতে তৎপর হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব।