বউবাজার বিপর্যয় সামাল দিতে এবার ভিন রাজ্য থেকে আনা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। কেএমআরসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরু এবং নয়াদিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি টিম আগামী সপ্তাহে শহরে আসছে। মাটির চরিত্র নিয়ে আগেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এবার তার পরীক্ষা এবং সমস্যার সমাধানে তাঁদের নিজস্ব মতামত জানাবেন। আর তখনই জানিয়ে দেওয়া হবে পরবর্তী কাজ শুরুর দিনক্ষণ।
বউবাজারের সমস্যাটি ঠিক কোথায়? জানা গিয়েছে, দুই টানেলের মাঝে ক্রস প্যাসেজ তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জেরে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। রাতারাতি সুখী গৃহকোণে অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা গিয়েছে। এক টানেল থেকে জরুরি সময়ে অন্য টানেলে যাওয়ার জন্যই এই ক্রস প্যাসেজ তৈরি করা হয়। বউবাজারে মদন দত্ত লেনে সুড়ঙ্গের ভিতর ক্রস প্যাসেজ তৈরির কাজ এখন বন্ধ। তবে সুড়ঙ্গের ভিতরে এবং উপরে গ্রাউটিং–এর কাজ চলছে। যে এলাকায় বিপর্যয় ঘটেছে সেখানে ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। নতুন করে ভূমিক্ষয় আর হয়নি।
ঠিক কী জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা? এই বউবাজার বিপর্যয় নিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, মাটির নীচে ভাল পরিমাণ ওয়াটার পকেট রয়েছে। আবার সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করলে জল বেরতে পারে। তাই গোটা বিষয়টি দেখতে নয়াদিল্লি এবং বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষজ্ঞদের টিম এখানে আসছে। নয়াদিল্লি–বেঙ্গালুরুর মেট্রো প্রকল্প তৈরির অভিজ্ঞতাকে এখানে তুলে ধরবেন। তাঁরা সুড়ঙ্গে ক্রস প্যাসেজ তৈরির ক্ষেত্রে পারদর্শী। এখন ঘটনাস্থলে রোজই মাটি পরীক্ষা করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি বিশেষজ্ঞরা।
ঠিক কী বলছে কেএমআরসিএল? বউবাজার বিপর্যয় নিয়ে কেএমআরসিএল–এর জেনারেল ম্যানেজার এ কে নন্দী বলেন, ‘নবান্নের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেভাবেই ভবিষ্যতে কাজ হবে। কোনও জায়গায় কাজ শুরুর আগে পুরসভা এবং পুলিশকে তা জানানো হবে। আর তারা সুড়ঙ্গে কাজ হলে মাটির উপরের অংশে ক্ষতি হতে পারে জানালে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’ এখন এখানে অস্থায়ী ক্যাম্প করে মানুষের অভাব–অভিযোগ শোনা হচ্ছে।