পুলিশ নিয়োগে আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে। আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রে ট্রাইবুনাল বা স্যাটের রায় নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন প্রার্থীরা তাই তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘তিন মাসের মধ্যে পুলিশের সব নিয়োগ শেষ করতে হবে’, নবান্ন থেকে নির্দেশ মমতার
পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। একটি হল পুলিশ কনস্টেবলের আসন সংরক্ষণ নিয়ে। অপরটি হল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে আবেদন নিয়ে। আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলায় এর আগে নিয়ম ছিল সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা বেশি নম্বর পেলে তাঁরা জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সেই জায়গায় অন্য কোনও প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী হিসেবে সুযোগ পাবেন। কিন্তু, স্যাট সেই নিয়মে মান্যতা দেয়নি। তাই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীর দাবি করেন, তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দানের জন্য মামলাটি স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে, সিভিক ভলেন্টিয়ারা কনস্টেবল পদে আবেদন করতে পারবেন বলে নিয়ম ছিল। তবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাবি ছিল, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। তাই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রার্থীরা। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে প্রচুর নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ১০ লক্ষ শূন্য পদ পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে রাজ্য পুলিশে ৮ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নিয়োগ সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।