সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন বিকৃতি মামলায় উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দের চাপ আরও বাড়ল। সিঙ্গল বেঞ্চের সাসপেনশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না তিনি। উলটে এদিনও বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। বলে রাখি, গতকালই নীলাদ্রিশেখরবাবুকে বিডিওর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। বিচারপতি নীলাদ্রিশেখরদে-কে প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আপনিও মামলা করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাহলে এখন কেন সেই কমিটির সুপারিশ মানতে অস্বীকার করেছেন? বিডিও হিসাবে আপনার দায়িত্ব ছিল নির্বাচনকে সুচারু রূপে পরিচালনা করা। কিন্তু তা আপনি করেননি। আপনি সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছিলেন। তাতেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। এই বলে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি ফেরত পাঠিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশে সোমবারই নীলাদ্রিশেখরবাবুকে বিডিওর দায়িত্ব থেকে সরাতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। এবার তাঁর সামনে খোলা রইল শুধু সুপ্রিম কোর্টের দরজা। এই মামলায় উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসককেও সাসপেন্ড করেছে আদালত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের সময় জাতি প্রমাণপত্র জমা দেন উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম। যদিও তাঁর মনোনয়ন খারিজ হয়ে যায়। জানা যায়, মনোনয়ন খারিজের কারণ হিসাবে তিনি জাতি প্রমাণপত্র জমা দেননি বলে জানানো হয়েছে। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এই মামলায় ওই আসনে ফের নির্বাচন করাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।