এবার রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগদুর্নীতির অভিযোগে জড়াল তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রীর নাম। কলকাতা হাইকোর্টে এই মর্মে দায়ের মামলায় রাজ্যের কাছে সত্যপত্র চাইলেন বিচারপতি। কেন নিয়োগ কমিটির মাথায় তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রীদের বসানো হয়েছে তার জবাবদিহি করতে হবে রাজ্যকে।
লালবাজারে ব্যবসায়ীর দফতরে তল্লাশিতে উদ্ধার ৩.৭১ লক্ষ টাকা ও প্রচুর রুপোর কয়েন
সেই তালিকায় রয়েছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, চন্দ্রনাথ সিনহা, শেখ সুফিয়ানের নাম। কেন চিকিৎসকদের বদলে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের কমিটিতে তৃণমূল নেতাদের নিয়োগ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা রুজু হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, এই নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি হবে। জেলায় জেলায় বাছাই করা তৃণমূল কর্মীরাই চাকরি পাবেন।
মঙ্গলবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে রাজ্যের কাছে সত্যপত্র চান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ কমিটিতে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের ভূমিকা কী তা সত্যপত্রে উল্লেখ করতে হবে। ৫ সেপ্টেম্বর ফের মামলাটির শুনানি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ল্যাজেগোবরে অবস্থা তৃণমূলের। গ্রেফতার হয়েছে দল ও মন্ত্রিসভার অন্যতম কান্ডারি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গিনী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ২টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বিপুল সোনার গয়না। এরই মধ্যে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে দুর্নীতিতে যুক্ত ১০০ জন তৃণমূল নেতার নাম দিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
উদয়ন গুহ–অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আলাদা বৈঠক, মন্ত্রী হচ্ছেন দিনহাটার বিধায়ক?
পার্থ ও অর্পিতার সম্পত্তির হদিশ পেতে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। রোজই পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন সম্পত্তির হদিশ। বুধবার ফের পার্থ ও অর্পিতাকে আদালতে পেশ করবে ইডি। তখন সওয়াল জবাবে আবার কী তথ্য বেরোয় তা নিয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের মামলায় নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের।
আইনজ্ঞদের মতে, এখনো যেহেতু নিয়োগ হয়নি ফলে এই মামলায় কারও চাকরি যাওয়ার বা শাস্তির মুখে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আদালতের কাছে দলের নেতাদের নিয়োগ কমিটির মাথায় বসানোর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে নিজের মতো করে কমিটি গঠন করে দিতে পারেন প্রধান বিচারপতি।