জুনিয়র মৃধার খুনে প্রথম থেকেই তাঁর দিকে অভিযোগের তির ছিল। অবশেষে প্রায় এক দশক পরে গ্রেফতার করা হল সেই প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে। সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর জুনিয়রের ‘প্রেমিকা’ প্রিয়াঙ্কাকে সোমবার গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যিনি মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তার পুত্রবধূ।
২০১১ সালের ১১ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার হয়েছিল জুনিয়রের মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর কাঁধে গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, সেদিন দুপুরে প্রিয়াঙ্কা ওরফে মুনের বাড়িতে দেখা করবেন বলে বেরিয়েছিলেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই সেই প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন জুনিয়রের বাবা-মা। খুনের আটদিনের মাথায় সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যেই চার তদন্তকারী আধিকারিককে বদলি করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে তদন্তের গতি রুদ্ধ করছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা।
ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন জুনিয়রের বাবা-মা। পরে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। ২০১৯ সালে জুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেখানে সিআইডিকে রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দাখিল করেছিল রাজ্য। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।
মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরই বিভিন্ন তথ্যসূত্র উঠে আসে। বিভিন্ন ফাঁকফোকর জোড়ার কাজ শুরু হয়। তারই ভিত্তিতে সোমবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রিয়াঙ্কাকে ডাকা হয়েছিল। সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মুনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।