বোর্ড গঠনব নিয়ে ভাগ্য আদালতের হাতে ঝুলে রয়েছে। আগামী ১৭ অগস্ট সেই মামলার পরবর্তী শুনানি। তারই মধ্যে আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল নবান্ন। এই মর্মে সমস্ত জেলা শাসক এবং বিডিওদের নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন। পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে ওই সময়ের মধ্যে বোর্ড গঠন করতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নিয়ে আদালতে মামলা চললেও বোর্ড গঠন নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। এই অবস্থায় বোর্ড গঠন করে ফেলতে বলল নবান্ন।
আরও পড়ুন: বড় ৫ খবর: তৃণমূলের হুমায়ুনকে ‘গুন্ডা’ আখ্যা মমতার, দুই আদলতে পৃথক অবস্থান SSC-র
নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে বোর্ড গঠনের কাজ শেষ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জয়ীদের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে বোর্ড গঠন করে ফেলতে হবে। না হলে সেগুলি বিডিও এবং জেলা শাসকদের হাতে চলে যাবে।’ উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ১৬ অগাস্টের মধ্যে বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির প্রসঙ্গ উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম পঞ্চায়েত নির্বাচন অরাজনৈতিকভাবে হোক। ২২ টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলায় অশান্তি হয়েছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। বিজেপি এবং সিপিএম পঞ্চায়েতে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেয় এবং এমনভাবে করায় যে একই পরিবারের অনেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নিয়ে মামলা এখনও হাইকোর্টে ঝুলে থাকলেও বোর্ড গঠন করার ক্ষেত্রে কোনও স্থগিতাদেশ আদালত দেয়নি। ফলে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি বোর্ড গঠন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না হলে সেগুলি বিডিও এবং জেলাশাসকদের হাতে চলে যাবে সেকথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে এরকম হলে পঞ্চায়েতের কাজে অসুবিধা হতে পারে। এরফলে সমস্যায় পড়তে পারেন এলাকার মানুষজন। সে কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী ওই সময়ের মধ্যে বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল গত ৮ জুলাই। এক দফায় সমস্ত পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছে। ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ফলাফলের দিন জেলায় জেলায় অশান্তি, ভোটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য আদালতের রায়ের উপরেই নির্ভর করছে। তারই মধ্যে এবার বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিল নবান্ন।