চক্ররেলে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ঘটল বিপত্তি। তার জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেল রেল পরিষেবা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ প্রিন্সেপ ঘাট এবং মাঝেরহাট রেল স্টেশনের মাঝখানে তার ছিঁড়ে যায়। এরফলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: ডিউটির সময় লোকালের ধাক্কায় মৃত ৩ রেলকর্মী, মিলবে ১.২৪ কোটি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ
কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির মধ্যে অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম হল এই চক্ররেল। এই চক্ররেলের সাহায্যে অতি সহজে এবং কম খরচে যেমন কলকাতার উত্তর শহরতলি থেকে দক্ষিণ শহরতলিতে আসা যায় তেমনি এই দুই শহরতলি থেকে কলকাতাতে কোনওরকম ঝক্কি ছাড়াই আসা সম্ভব। এর মাধ্যমে যেমন প্রতিদিন অসংখ্য অফিস যাত্রী যাতায়াত করেন তেমনি আবার অনেকেই চক্ররেল মারফত কলকাতা স্টেশনে গিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন ধরেন। তবে ওভারেডে তার ছিঁড়ে যাওয়ার বলে স্বাভাবিকভাবে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর তিনটের সময় আচমকা এই দুটি স্টেশনের মাঝখানের তার ছিঁড়ে পড়ে। যার ফলে সাময়িকভাবে টেন পরিষেবা বন্ধ থাকে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে রেলের ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। গত ডিসেম্বরে হাওড়া স্টেশনে রেল ইয়ার্ডের কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। হাওড়া স্টেশনের ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন বন্ধ থাকে। ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এছাড়াও গত নভেম্বরে ব্যান্ডেল স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। তার ফলে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ছুটে যান রেলের আধিকারিকরা। পরে সমস্যার সমাধান করে পুনরায় ট্রেন চালু করা হয়।আর এবার চক্ররেলের ওভারহেডের তার ছিঁড়ে পড়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। কীভাবে ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।