কয়েকদিন আগেই পার্ক সার্কাসে এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। এবার প্রায় একই ধরনের ঘটনায় প্রাণ গেল সিআইএসএফ-এর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের। ভারতীয় জাদুঘরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের বারাকে ঘটা বার্স্ট ফায়ারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গতকাল। এই ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও। ঘটনায় একাধিক সূত্র থেকে উঠে আসছে নানা তথ্য।
একটি সূত্রের দাবি, সম্ভবত অভিযুক্ত জওয়ানের ছুটি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পরে তিনি ছুটি পাননি বলে অভিয়োগ। এদিকে অপর এক সূত্র দাবি করেছে, বিকেলে জাদুঘরের মূল ফটক বন্ধ করা নিয়ে হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্র এবং অ্যাসিট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষের বচসা হয়েছিল। আবার কেউ কেউ বলছেন, লিফট নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও ঘটনার কারণ নিয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি। তবে ঘটনার পর অভিযুক্ত জওয়ানের মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ওড়িশার ঢেনকানালের বাসিন্দা অক্ষয়কুমার। কয়েকদিন আগেই তাঁর বাবা মারা যান। সাধারণত ১৫ অগস্টের আগে ছুটি পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে কড়াকড়ি রয়েছে। তবে পিতৃবিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় ছুটি মঞ্জুর করা হয়ে থাকে। যদিও অক্ষয়কুমারের ছুটির আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এদিকে মৃত এএসআই রঞ্জিতও ওড়িশার ঢেনকানালের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অবশ্য ছুটি মঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল। এদিকে একটি সূত্রের দাবি, হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমারকে নিয়ে সহকর্মীরা মজা ওড়াতেন। বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার হতেন অক্ষয়কুমার। তবে ঠিক কী কারণে সিআইএসএফ-এৎ হেড কনস্টেবল এই কাণ্ড ঘটান, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনার কথা জানা যায়। প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে। হয় বার্স্ট ফায়ার। ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে সিআইএসএফ-এর বারাকের ভেতরে ঢোকেন। কলকাতা পুলিশের অ্যাকশন স্কোয়াড গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। বার বার অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করার জন্য হ্যান্ড মাইকে বলা হয়। পরে অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন।