বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mamata Banerjee: ‘‌আমরা গর্বিত’‌, বার্তা দিয়ে টুইটারের প্রোফাইল পিকচার বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee: ‘‌আমরা গর্বিত’‌, বার্তা দিয়ে টুইটারের প্রোফাইল পিকচার বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

মিছিলের শুরু থেকেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোভাযাত্রার অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতা–সহ বিশিষ্টজনেরা। ওই মঞ্চে ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন একাধিক দুর্গামূতি।

এবার ট্যুইটারে নিজের প্রোফাইল পিকচার বদলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ করেছেন তাঁকে। সেখানে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর এই প্রোফাইল পিকচার বদল কার্যত মাস্টারস্টোক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এতেই বাকিদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মেগা শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ছবির পরিবর্তে সেখানে রেখেছেন বাংলার হেরিটেজ তকমার লোগো।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ জোড়াসাঁকোর মিছিল থেকে শুরু করে রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ— বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধন্যবাদ দিয়েছেন ইউনেস্কোকে। এমনকী ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদলের সকলকে নিজে হাতে সম্বর্ধনা তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর নিজের ট্যুইটারের প্রোফাইল পিকচারে বদল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন আগামী দিনে পুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বড় ভাবনাচিন্তা রয়েছে।

কী লেখা আছে নয়া প্রোফাইলে? এই প্রোফাইল পিকচার বদলে সেখানে‌ লেখা হয়েছে, ‘‌আমরা গর্বিত, দেশ গর্বিত, বিশ্ব গর্বিত। হেরিটেজ তকমার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ।’‌ আর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি আমাদের আরও উৎসাহ জুগিয়েছে। এটাই ভবিষ্যতের পাথেয়। আজকের এই মঞ্চ সর্ব ধর্ম বর্ণের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলকে দিয়ে একটি সমীক্ষা করিয়েছিলাম আমরা। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এই রাজ্যে ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। কত মানুষ উপকৃত হন। অতএব আমাদের ধর্মই আমাদের উৎসব। আমাদের জাত আমাদের একতা। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ। আজকে থেকে পুজো শুরু হয়ে গেল। যে যেমন করে পারুন আনন্দ করুন। মনটাকে খুশি রাখুন। সবুজ রাখুন। মানবিক ও উন্মুক্ত রাখুন। হৃদয়টাকে বড় করুন। হৃদয় খোলা রাখুন। বাংলা নতুন করে জাগাক সকলকে।’‌

ঠিক কী দেখা গিয়েছিল?‌ শোভাযাত্রার অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতা–সহ বিশিষ্টজনেরা। ওই মঞ্চে ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন একাধিক দুর্গামূতি। আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিশ্বের গর্বের তালিকায় বাঙালির সংযোজনের ঘোষণা করে কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই জবাব মেলে বিরোধীদের সমালোচনার।

বন্ধ করুন