বড়দিনের আগে আগামী ২৪ ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তী উপলক্ষে ১ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হবে ব্রিগেডের ময়দানে। তাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গীতাপাঠে তিনি কণ্ঠ মেলাবেন। এছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, আরএসএস এবং বিভিন্ন রাজ্যের সাধু সন্ন্যাসীরা উপস্থিত থাকবেন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। যদিও তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। তবে নরেন্দ্র মোদীর কণ্ঠে গীতাপাঠ নিয়ে পালটা খোঁচা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি রোজ চণ্ডীপাঠ করেন।
আরও পড়ুন: গীতা জয়ন্তী হতে চলেছে ব্রিগেডে, রাষ্ট্রপতি–মুখ্যমন্ত্রী কি আবার একমঞ্চে আসছেন?
গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিভিন্ন মঠ এবং মন্দিরের মিলিত মঞ্চ। গেরুয়াপন্থী সংগঠন অখিল ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের তরফে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এর পিছনে পুরোপুরিভাবে বিজেপি ও সংঘ পরিবার রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, তাদের তরফে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তাছাড়া এটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। তবে অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক মঞ্চ না হলেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আবহে গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠান তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তিনি জানেন না এই সংগঠন কাদের। সেটা জানার দরকার রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা এই সংগঠন হল বিজেপির। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তারা গীতাপাঠ করতেই পারে। গীতাপাঠে কোনও অসুবিধা নেই। এরপরেই তিনি জানান, তিনি নিজেও রোজ চন্ডীপাঠ করেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে ৩৬০০–এরও বেশি হিন্দু সংগঠন অংশগ্রহণ করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। ওইদিন ব্রিগেডে উপস্থিত থাকছেন পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ও দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতী। আয়োজকরা বাংলার ঐতিহ্য অনুসারে বিখ্যাত বাঙালি আইকন কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীত এই অনুষ্ঠানে বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।