এবার রবীন্দ্রজয়ন্তী নিয়ে কার্যত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল বাংলায়। বিজেপি এই প্রথমবার রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান করতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করছে। নয়াদিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সায়েন্সসিটি অডিটোরিয়ামে হবে বৈভবের রবীন্দ্র সন্ধ্যা। বাংলার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতেই এমন উদ্যোগ বলে সূত্রের খবর। তাহলে কি পিছিয়ে থাকবে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন উঠতেই আজ সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর তাতেই যেন জমে উঠেছে প্রতিযোগিতা।
প্রত্যেক বছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয় রবীন্দ্রসদনের সামনে। কিন্তু এবার সেটা হলেও মূল অনুষ্ঠান হবে অন্যত্র। সেটা ঠিক কোথায় হবে? এবারে মূল অনুষ্ঠান হবে ধনধান্য স্টেডিয়ামে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রবীন্দ্রসদনের সামনেও হবে অনুষ্ঠান। সম্প্রতি এই অত্যাধুনিক ধনধান্য স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেখানেই সারাদিন ধরে চলবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। তাই এখানে ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এমন অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন অনেকে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মণিপুর ইস্যু, ঘূর্ণিঝড় ইস্যু–সহ নানা বিষয়ে তথ্য জানান তিনি। আর রবীন্দ্রজয়ন্তী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রবীন্দ্রসদনের সামনেও অনুষ্ঠান হবে। তবে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ‘জুনিয়র শিল্পী’রা। মনোময়, লোপামুদ্রা, রূপঙ্কর বাগচী, বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখ শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন ধনধান্যে। এখানেই মূল অনুষ্ঠানটি হবে। এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিক এবং পড়ুয়াদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। রবীন্দ্র সংস্কৃতির ধারা প্রবাহিত হোক। বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক।’ সুতরাং ক্যামেরার ফোকাস যে ধনধান্য স্টেডিয়ামে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধনধান্য স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন। কোনও একটা সময় তিনি সেখানে যেতে পারেন। আবার রবীন্দ্রসদনের বাইরেও তিনি যাবেন। রাজ্যের অনেক মন্ত্রীই আগামীকাল মঙ্গলবার ২৫ বৈশাখে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে ধনধান্য স্টেডিয়ামে যাবেন। তবে এদিন অশান্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপালকে নিশ্চয়ই ভুল বোঝানো হচ্ছে’। আর ‘মুখ্যমন্ত্রী আচার্য’ ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য, ‘ওঁর বিল পছন্দ না হলে সেই বিল ফেরৎ পাঠাতে পারেন।’