করোনাভাইরাস থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বৃহস্পতিবার থেকে বিকেল ৪টেয় ছুটি হবে রাজ্য সরকারি সব দফতর। ১০টা – ৫টার চাকরি করেন যাঁরা তাঁদের সবার ছুটি হবে বিকেল ৪টেয়। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজের বাড়ি অনেক সুরক্ষিত। তাই দ্রুত বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে কর্মচারীদের। সঙ্গে একটু আগে অফিস থেকে বেরোলে ভিড় এড়াতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। যদিও সরকারি কর্মচারীদের একাংশের দাবি, স্কুল শিক্ষকরা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি পেলেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নিয়মিত অফিসে যেতে হচ্ছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই তাড়াতাড়ি অফিস ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
বুধবার মমতা বলেন, আগামিকাল থেকে নতুন রোস্টার হবে ৪টের সময় ছুটি হয়ে যাবে। আমরা মনে করছি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজের বাড়ি সব থেকে নিরাপদ। তাছাড়া বাস – ট্রেনেও ভিড় এড়ানো যাবে। সাধারণত ৫টা পর্যন্ত অফিসে থাকতে হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
এছাড়া যে সমস্ত দফতরে শিফটিং ডিউটি রয়েছে সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী এমন করে কর্মী নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন যাতে ভিড় না হয়।
এছাড়া বাড়িতে গিয়ে কোনও সরকারি কর্মচারী অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে অনলাইনে ছুটির আবেদন করতে পরামর্শ দেন মমতা। বলেন, ‘অনলাইনে ছুটির আবেদন করবেন। ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে চিফ সেক্রেটারিকে আবেদন করবেন। আমরা মানবিক দিক থেকে ব্যাপারটা দেখে নেব।’
মমতা করোনা রোধে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ১ ঘণ্টা আগে ছুটি ঘোষণা করলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। একজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরোনোর পর কার সংস্পর্শে আসবেন তা বলা অসম্ভব। আর ফলে দ্রুত ছুটি দিলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম এমন যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
নবান্ন সূত্রের খবর, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি পাচ্ছেন স্কুল শিক্ষকরা। অথচ রোজ নিয়ম করে অফিস করতে হচ্ছে সরকারি কর্মীদের। ফলে ক্ষোভ জমছিল সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে। তাঁদের প্রশ্ন, করোনা কি শুধু স্কুল শিক্ষকদের হতে পারে? আমাদের দেহে কি প্রতিষেধক রয়েছে? সেই ক্ষোভ প্রশমনেই ১ ঘণ্টা আগে ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাকের বদলে মিলল নরুন।