মঙ্গলবারই বীরভূম থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সিবিআই দফতরে যেতে যেতে ‘অসুস্থ’ হয়ে পৌঁছে যান এসএসকেএম-এ। মঙ্গলবার রাতে যে গাড়ি করে কেষ্ট কলকাতায় আসেন, তার মাথায় ছিল লালবাতি। সকালে যে কালো গাড়ি করে অনুব্রত এসএসকেএম গেলেন, তার মাথাতেও লালবাতি। যেখানে মন্ত্রীদেরই লালবাতি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে একটা রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতির গাড়ির মাথায় কেন লালবাতি? এবার এই প্রশ্ন করল সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন না। তা সে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ যেই হোক না কেন। কেন্দ্রের আইন অনুযায়ী, বিমানবন্দর, বন্দর এবং খনির গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে যুক্ত আধিকারিকদের গাড়িতে হলুদ বা অ্যাম্বর আলো লাগানো যাবে। অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের গাড়িতে ব্যবহার করা যায় নীল আলো। তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাল-নীল ‘মাল্টি-কালার্ড’ আলো ব্যবহার করতে পারেন কেউ কেউ। এই পরিস্থিতিতে যে গাড়িতে কেষ্ট চড়লেন তাতে কেন লাল বাতি?
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যে গাড়িতে করে বীরভূম থেকে কলকাতা এসেছেন, সেই গাড়িটি বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে নথিভুক্ত। ২০১৭ সালের ২৪ মে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন হয়। এই আবহে ব্যক্তিগক গাড়িতে কেন লালবাতি? বীরভূম জেলা প্রশাসনের জবাব, তারা এই বিষয়ে কিছুই জানে না। অনুব্রত যদিও দুটি কমিশনের চেয়ারম্যান, যার পদমর্যাদা মন্ত্রী সমতূল্য, তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্য কোনও মন্ত্রীও তো লালবাতি নিয়ে ঘুরে বেরান না। ২০১৭ সালের ১ মে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী কোমও কমিশনের সভাপতি লালবাতি নিয়ে ঘুরতে পারেন না। জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জেলার মধ্যে লালবাতি নিয়ে ঘুরতে পারেন। তবে সেই লালবাতি সংশ্লিষ্ট জেলার গণ্ডি পার করতে পারে না।