থানায় সুইসাইড নোট ই-মেল করে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রেমিকের সঙ্গে আত্মঘাতী হলেন লিভ ইন পার্টনার। বুধবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুগল। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, ‘আমাদের বডি যেন বন্ধুদের দিয়ে দেওয়া হয়।’
বুধবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ ঋষিকেশ পাল ও তাঁর লিভ ইন পার্টনার রিয়া সরকারের দেহ। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে, এসি চলছে। বিছানায় শায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে চাদরে ঢাকা ২টি দেহ। যাতে পুলিশের অনুমান কোনও ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজিন্টিভ ঋষিকেশ ও তাঁর প্রেমিকা।
বন্ধুরা জানিয়েছেন, ঋষিকেশ আরামবাগের বাসিন্দা। আগে ভবানী ভবনে চাকরি করতেন কিনি। কোনও কারণে চাকরিটি চলে যায়। এর পর মেডিক্যাল রিপ্রেজিন্টিটিভের পেশায় যুক্ত হন তিনি। ঋষিকেশ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসা করাতে অনেক ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল ঋষিকেশের। যার জেরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার তাঁরা একটি ইমেল পান। তাতে লেখা আর্থিক অনটনের জন্য আমরা আত্মঘাতী হতে বাধ্য হচ্ছি। ইমেলে জানানো হয়েছে, যুগলের একটি ওষুধের ব্যবসা ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইমেলে উল্লেখ করা ঠিকানায় পৌঁছয় পুলিশ। দরজা ভেঙে ঢুকে যুগলের নিথর দেহ উদ্ধার করে তারা।