করোনাভাইরাস রুখতে সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ছোট-বড় শহরে শুরু হয়েছে লকডাউন। মঙ্গলবার আরও বেড়েছে লকডাউনের বহর। রাজ্যের সমস্ত সর্বত্র ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অবশেষে বাধ্য হয়ে নমাজ পড়ার জন্য মুসলিমদের মসজিদে না যেতে অনুরোধ করল বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন। গত ১৯ মার্চ সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মসজিদে নমাজ পড়তে আসবেনই মুসলিমরা।
মঙ্গলবার জারি এক বিবৃতিতে ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে নমাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার দরকার নেই। বদলে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাড়িতেই নমাজ অদা করতে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। ৯ এপ্রিল সবে বরাত পর্যন্ত এই বিধি কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনটির তরফে।
সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মসজিদের ভিতরে নমাজের আয়োজন করবেন ইমামরা। তবে তাতে সাধারণ মুসলিমের অংশগ্রহণ করার দরকার নেই।
এর আগে গত ১৯ মার্চ মসজিদে নমাজ পড়া কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে জাননিয়েছিল ইমামস অ্যাসোসিয়েশন। যার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। যেখানে সৌদি আরব পর্যন্ত মসজিদে নমাজ স্থগিত করেছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ইমামরা কী করে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। পরদিন শুক্রবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মসজিদগুলিতে জুম্মার নমাজে প্রচুর মুসলিম জড়ো হন। যা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
বেশ কিছুদিন ধরে ধর্মীয় স্থানে জমায়েত বন্ধ করতে অনুরোধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠার আগেই বেলুড় মঠে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। একে একে বন্ধ হয়েছে, তারকেশ্বর, তারাপীঠ মন্দির।