কলকাতায় আর কোনও বিমান নামতে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বিমান চলাচল চালু রেখে ভারত সরকার রাজ্যে জারি করা নিষেধাজ্ঞা এবং কোয়ারেন্টাইন আচরণবিধি ব্যাপক আকারে ভঙ্গ করছে দেখে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এর ফলে রাজ্যজুড়ে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে আমরা যে কঠিন বাধা অতিক্রম করে কাজ করে চলেছি, তা বিঘ্নিত হচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘এই কারণে আপনাকে অনুরোধ করছি, প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত উড়ান অবিলম্বে বন্ধ করুন যাতে সংক্রমণের উৎস যথার্থ বন্ধ করা যায় এবং রাজ্যে প্রকৃত অর্থে লকডাউন জারি করা সম্ভব হয়।’
প্রসঙ্গত, রবিবার একলাফে রাজ্যে Covid-19 আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার থেকে বেড়ে সাতে পৌঁছেছে। ওই দিন লন্ডনবাসী বঙ্গসন্তানের বাবা-মা ও পরিচারিকা কলকাতায় ফিরলে তাঁদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা লিখেছেন, এ দিন বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যে সংকটজনক নিরাপত্তা বিধি সংক্রান্ত ব্যবস্থা (লকডাউন) চালু করার ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এবং সাত জনের বেশি জনসমাগম বন্ধ করা হচ্ছে।
চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত আন্তঃরাজ্য পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ করেছি এবং রাজ্যেও যাত্রী পরিবহণ পরিষেবা ন্যূনতম সংখ্যায় নামিয়ে এনেছি। সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করেছে রেল দফতর এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।’
রবিবার বিকেলেই ২৩-২৭ মার্চ পর্যন্ত ৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ট্যাক্সি ও অটোরিকশা-সহ বন্ধ রাখা হয়েছে সব রকম গণপরিবহণ পরিষেবা। একমাত্র হাসপাতাল, রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনাসের বাইরে ট্যাক্সি চলাচল অনুমোদন করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, সমস্ত দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস ও কারখানা, গুদাম ইত্যাদি এই পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে। লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র মুদি দোকান এবং সবজি, মাছ ও মাংস বিক্রয়কারী বাজার।