অনুমোদন দিতে গড়িমসি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তার জেরে রাশিয়ার করোনাভাইরাস টিকা স্পুটনিক ৫-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের সুযোগ কার্যত হাতছাড়া হয়ে গেল বাংলার। রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে একথা জানিয়েছেন সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার একজন উচ্চপদস্থ কর্তা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছ'টি কেন্দ্রের পাশাপাশি সাগর দত্ত হাসপাতালেও চলতি সপ্তাহে স্পুটনিক ৫-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় সেতুবন্ধনকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করা ক্লিনিমেড লাইফসায়েন্সের কর্তা সুখেন্দ কোনার পিটিআইকে বলেন, ‘অনুমোদন দিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের গড়িমসির জন্য কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে স্পুটনিক ৫-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করতে পারব না আমরা। অনুমোদনের জন্য গত ৪ নভেম্বর আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর মেলেনি। এখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।’
রবিবারই যদি রাজ্য অনুমোদন দেয়, তাহলে কি ট্রায়াল শুরু করা যেতে পারে? ওই কর্তা বলেন, ‘যদিও বা আজ (রবিবার) ছাড়পত্র দেওয়া হয়, ট্রায়াল শুরু করা সম্ভব নয়।’ তিনি জানান, শুধু্ রাজ্য সরকার নয়, ট্রায়াল শুরুর আগে হাসপাতালের ‘ইনস্টিটিউশনাল এথিকস কমিটি’-র ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়।
বিষয়টি নিয়ে পিটিআইয়ের তরফে যোগাযোগ করা হলে নাম গোপন রাখার শর্তে স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘এটা আমাদের দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমার মনে হয় যে উৎসবের কারণে অনেক আধিকারিক ছুটিতে থাকার কারণে হয়তো অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়েছে। এটা নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি খতিয়ে দেখব আমরা।’
সেতুবন্ধনকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ হওয়ার আগে সাগর দত্ত হাসপাতালের যাবতীয় পরিকাঠামো এবং কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা-সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করা হয়েছিল। ওই কর্তা বলেন, ‘কোন টিকা বা ওষুধের ট্রায়ালের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এরকম কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এবার আমাদের অনুমোদন চাইতে বলা হয়। যা পুরো প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করে দিয়েছে। শেষপর্যন্ত আমরা তা হারিয়ে ফেলতে চলেছি।’