আগেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছিল সে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কলকাতা থেকে অনেক দূরে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় তৈরি করে অস্ত্রের কারখানা। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। অস্ত্র কারখানার ওই মালিককে ফের গ্রেফতার করেছে এসটিএফ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ সোনু সাহুদ। সোনু মুঙ্গেরের হজরতগঞ্জের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শেখ মকবুল ওরফে রাজেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই নানা তথ্য উঠে আসে। খোঁজ পাওয়া যায় ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক অস্ত্র কারখানার। এরপরই শেখ মকবুলকে সঙ্গে নিয়ে ক্রেতা সেজে ওই অস্ত্র কারখানায় হানা দেয় এসটিএফ। ওই অস্ত্র কারখানা থেকে এক মহিলা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম মহম্মদ সোনু সাহুদ, বিট্টু কুমার, মহম্মদ মিরাজ আলম, মহম্মদ তেবরাজ, মহম্মদ মুজাহিদিন ও রাই দেবী। তাঁদের জেরা করে জানা যায়, মহম্মদ সোনু সাহুদই মূল পাণ্ডা। সোনুকে দেখেই চিনতে পারেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, এর আগেও কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল সে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে জুলাইতে বারাকপুরের কাছে জগদ্দল এলাকায় ছোট শ্রীরামপুর থেকে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। জগদ্দলের ওই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ জন মুঙ্গেরের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই কারখানা থেকেই ধরা পড়েছিল সোনু সাহুদ নামে ওই ব্যক্তি। ২ বছর আগে জেল থেকে ছাড়া পায় সোনু। এরপর কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা দূরে নতুন করে অস্ত্র কারখানা তৈরির মতলব করে সে।