খাস কলকাতায় বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার, পাচারকারীকে গ্রেফতার করল শুল্ক দফতর

এই বিপুল পরিমাণ সোনা বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে। তল্লাশি চালিয়ে যে সোনা মিলেছে তা প্যাকেজিং বলছে এগুলি বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে। গোটা ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। তবে কেমন করে বিদেশ থেকে এদেশে সোনা পাচার হল?‌ তদন্ত শুরু হয়েছে।

উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ সোনার।

আবার খাস কলকাতায় উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ সোনার। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে এই সোনা পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮১৬.৫৯ গ্রাম সোনার বাট। যার বাজারদর আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ শুল্ক দফতরের অফিসাররা গোপন সূত্রে একটি খবর পায়। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে ঘাপটি মেরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এলাকায় বসে থাকেন। কলকাতায় সোনা পাচারের খবর পেয়ে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির উপর নজর রাখেন। কিথুক্ষণ পর লক্ষ্য করা যায় ওই ব্যক্তির হাতে একটি কালো ব্যাগ আছে। ইতিউতি তাকাচ্ছিল আর হাঁটছিল ওই ব্যক্তি। তখন অফিসাররা তার পথ আটকে দাঁড়ান। ওই ব্যাগে কী আছে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তার কথায় অসঙ্গতি মেলে। তখনই তাকে পাকড়াও করা হয়। আর ব্যাগের ভিতর তল্লাশি চালাতেই সোনার বাট উদ্ধার হয়।

কোথা থেকে এসেছিল সোনা?‌ শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, এই বিপুল পরিমাণ সোনা বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে। তল্লাশি চালিয়ে যে সোনা মিলেছে তা প্যাকেজিং বলছে এগুলি বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে। গোটা ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। তবে কেমন করে বিদেশ থেকে এদেশে সোনা পাচার হল?‌ তদন্ত শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছিল। তাতে দুই মহিলা জড়িত ছিল। এই সোনা পাচারের কাজে এখন মহিলা এবং বয়স্ক পুরুষ মানুষকে নামানো হচ্ছে। যাতে সন্দেহ না হয়। সেখানে আবার সোনা উদ্ধার হওয়ায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই পাচারকারীর সঙ্গে কার যোগ আছে, তা খতিয়ে দেখছেন শুল্কদফতরের অফিসাররা।