বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‌এবার আসতে চলেছে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন, চলতি বছরের শেষেই টিকা মেলার সম্ভাবনা

‌এবার আসতে চলেছে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন, চলতি বছরের শেষেই টিকা মেলার সম্ভাবনা

‌ডেঙ্গু নিয়ে বেশ চিন্তিত পুরসভা। (ছবি সৌজন্যে সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, দেশের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশ। ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৬৭ হাজার ২৭১ জন। তার মধ্যে মারা যায় ৩০ জন। সেখানে এই টিকা বা ভ্যাকসিন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে বেশ চিন্তিত পুরসভা। এখন কয়েকটি জেলাতেও এই ডেঙ্গু রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। কলকাতার সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে মানুষ ভর্তি হচ্ছেন। এমনকী ডেঙ্গুতে মানুষের মারা যাওয়ার খবরও আগে পাওয়া গিয়েছিল। যা নিয়ে চিন্তিত কলকাতা পুরসভা। তবে দেশের বড় বড় শহরে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার নয়া দিগন্ত খুলে যেতে চলেছে। কারণ বিজ্ঞানীদের লাগাতার চেষ্টায় এবার বাজারে আসতে চলছে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন।

বিষয়টি ঠিক কী হতে চলেছে?‌ ডেঙ্গু নিয়ে যখন গোটা দেশ তথা বাংলা চিন্তিত তখন প্যানাসিয়া বায়োটেক দ্বারা তৈরি ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। এমনই খবর এখন এসেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যা বাজারে এলে ডেঙ্গু নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না। করোনাভাইরাস টিকা এনে মবামারিকে রোখা গিয়েছে। এবার ডেঙ্গু রোখাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।

এদিকে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হলেই বাজারে আসবে ডেঙ্গুর টিকা বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আইসিএমআর–এর কমিউনিকেবল ডিজিজেস বিভাগের প্রধান ডাঃ নিবেদিতা গুপ্ত জানান, প্যানাসিয়া বায়োটেকের ভ্যাকসিনটি তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ডিজিসিআই। এবার দেখা যাক জল কোন দিকে গড়ায়। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, দেশের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশ। ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৬৭ হাজার ২৭১ জন। তার মধ্যে মারা যায় ৩০ জন। সেখানে এই টিকা বা ভ্যাকসিন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে এই ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা এএনআই–কে আইসিএমআরের ডিরেক্টর ডঃ রাজীব বহল বলেন, ‘‌ট্রায়াল চলছে। আমরা কোম্পানির পণ্যটি তৈরি করার জন্য অপেক্ষা করছি। তিন মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। তখন তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হতে পারে।’‌ এই টিকা ১৮ থেকে ৮০ বছর বয়সী ১০,৩৩৫ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর ট্রায়াল হবে। ডেঙ্গু চারটি ভিন্ন ভাইরাস দ্বারা তৈরি একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগ দেশের অনেক জায়গায় বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বন্ধ করুন