বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের ধাক্কা সামলে অবশেষে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বোঝাতে চাইলেন, রাজনীতিতে বাবুলের তেমন প্রভাব নেই। এমনকী ভবানীপুর উপ নির্বাচনে বাবুলের দলবদলের যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তারও আপ্রাণ চেষ্টা চালালেন তিনি। সঙ্গে বাবুলকে গুরুত্ব দেওয়ায় ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিচক্ষণতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিন ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রচারে দিলীপবাবু বলেন, ‘উনি স্টার। কোনও দিন দলের হননি। আমার বন্ধু। আগেও বলতাম উনি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। যা করতেন আবেগে করতেন । যেখানে গিয়েছেন ভাল ভাবে রাজনীতি করুক। ’ দিলীপবাবুর দাবি, বাবুলের দলত্যাগে বিজেপিতে প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘বাবুল পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট। ওরকম অনেকে আসবে-যাবে। দলে থেকে কোনও লাভ হয়নি। গিয়েও ক্ষতি হবে না।’
তবে বাবুলকে গুরুত্ব দেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর যে তিনি ক্ষুব্ধ তাও বোঝাতে দেরি করেননি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সন্ধ্যায় বাবুলের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, ‘যারা মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হতে এসেছিলেন তাঁরা আজ কোথায় সেটা শীর্ষনেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছি।’ চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ-মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁকে মাথায় করে নাচা হয়েছে। তাই দল ছেড়ে যাচ্ছেন বলে খবর হচ্ছে। যারা মার খাচ্ছে তাদের কোনও খবর নেই।’
শনিবার হঠাৎ তৃণমূলে যোগ দেন রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়া বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের সাংসদ তার পর বলেন, ‘বড় দলের রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করতে পারবো না।’