টাকার বিনিময়ে ভোটের টিকিট বিলির অভিযোগে বিদ্ধ বিজেপি। সৌজন্যে ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়ো ক্লিপ। যেই সূত্রে ভোটের 'টিকিট বিক্রি'র অভিযোগে নাম জড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। তবে এই ইস্যুতে হইচইয়ের কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছে না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি পালটা তৃণমূলকেই এই বিষয়ে খোঁচা মেরেছেন।
এদিন নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ প্রীতম অডিয়ো কাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা সমাজ ও রাজনীতিকে কলুষিত করার মতো ঘটনা। আমাদের দলে একজনকে বিষয়টা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁর কাছে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি এই বিষয়ে বলবেন। তবে বিধানসভা ভোটের আগে কত হাজার হাজার মানুষ বিজেপিতে এসেছিলেন। কেউ আছেন। কেউ চলে গিয়েছেন। আর তৃণমূল নেতাদের হাতে করে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর এখানে একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে হইচই হচ্ছে। আগে প্রমাণ হোক।'
এদিকে ইতিমধ্যেই টাকার বিনিময়ে পুরভোটে বিজেপির টিকিট বিক্রি নিয়ে প্রকাশ্যে আসা অডিয়ো টেপের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অডিয়ো টেপে যাঁর কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছিল সেই শতদ্রু রায়ও ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। এনডিএ-র সহযোগী দল হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার রাজ্য সভাপতি শতদ্রুবাবু। তিনি বলেন, 'আসনবণ্টনের বিষয়টি আর্থিক দিকে এগোতেই আমি তাঁর কথোপকথন রেকর্ড করি। সেই অডিয়ো টেপ আমি যথা জায়গায় পেশ করে প্রীতমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। অডিয়ো টেপ ফাঁস হয়েছে সেখান থেকেই। আমি টেপ ফাঁস করিনি।'
এদিকে এদিন সরকারকে পুরভোট প্রসঙ্গে তোপ দেগে দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, 'ভোট স্থগিত হওয়ায় বিরোধীদের দায়ি করে সরকার। আসলে সরকার কথা শোনে না। তাই মানুষ আদালতে যায়। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা। আমরা গোড়া থেকেই বলছি, সর্বত্র একসঙ্গে ভোট হোক।' প্রসঙ্গত, গতকাল উচ্চ আদাতে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় যে যতদিন এই বিষয়ে মামলা চলবে, ততদিন ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না। এর পরই কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।