প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন এমন চিকিৎসকদের জন্য সুখবর! বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে— সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতোই প্রথম দফায় টিকাকরণ হবে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা চিকিৎসকদেরও। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁরা একেবারে সামনের সারিতে না থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে নিজের চেম্বারে রোগী দেখেছেন। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, সেই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পিছুপা হননি তাঁরা।
প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা চিকিৎসকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যে তাঁদের লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠি যাতে ডাক্তারদের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য ব্লক স্তরের প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পেতে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সে সমস্ত চিকিৎসকদের যাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন।
ভ্যাকসিন পেতে কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন চিকিৎসকরা? স্বাস্থ্য দফতর এ ক্ষেত্রে তিনটি উপায়ের কথা জানিয়েছে। এক, Co–Win অ্যাপ মোবাইলে ইনস্টল করে সেখানে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন চিকিৎসকরা। দুই, সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরে নাম দাখিল করতে পারেন তাঁরা। তিন, ব্লক, মহকুমা বা স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা ডাক্তাররা।
উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি সারা দেশে গণটিকাকরণ শুরু হতে চলেছে। প্রথম দফায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাফাইকর্মীদের মতো কোভিড যোদ্ধাদেরই টিকাকরণ করা হবে। ইতিমধ্যে শুক্রবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনগুলি বিমানে পরিবহণের জন্য বিশদ খসড়া তৈরি করেছে ভারত সরকার। ভ্যাকসিন বিতরণের প্রধান হাব পুনে থেকে সারা ভারতে পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন পরিবহণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বেশ কিছু মিনি হাব তৈরি করেছে সরকার। যেমন, কলকাতা ও গুয়াহাটি থেকে পূর্ব ও উত্তর–পূর্ব ভারতের সর্বত্র পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন।