আজ মহাসপ্তমী। আদালতের নির্দেশে সেভাবে চেনা ভিড়ের ছবি চোখে পড়ছে না। তবে বেলা গড়াতেই বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়াকে সঙ্গী করে ভিড়ের নিরিখেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার সুযোগ খুঁজছে শহরের বহু বড় পুজো কমিটি! তাই সকাল থেকে যে খেয়াল ছিল তা আবেগের জোয়ারে দুপুরে কিছুটা ভেসে যায়। মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ জেনেও দুপুর থেকে বাড়ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। যা দেখে পুজোকর্তাদের অনেকেরই বক্তব্য, মণ্ডপের বাইরের নো–এন্ট্রি বোর্ড পর্যন্ত কত লোক হল, তার বিচারেই এবার ঠিক হবে উত্তর–দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে কে কাকে টেক্কা দিল!
সুরুচি সংঘের এক পুজোকর্তার বক্তব্য, এবার লোক কোথায়? অনেকেই অনলাইনে পুজো দেখছেন। ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড পর্যন্ত যত জন আসবেন, তার নিরিখেই ভিড়ের হিসেব হবে। দেশপ্রিয় পার্কের এক পুজোকর্তা বললেন, ‘এবার ভিড় অনেকটা কম হলেও একেবারে মন্দ নয়। করোনার একটা ভয় থাকলেও আমার মনে হয়, যতটুকু আসা যায়, সেই পর্যন্ত দর্শনার্থীরা আসবেনই।’
এবার টালা বারোয়ারির পুজোর শতবর্ষে পা দিয়েছে। এখানের পুজোর উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমাদের মতো পুজো উদ্যোক্তাদের মন ভেঙে গিয়েছে। তবু অপেক্ষা করছি, যতটুকু দেখা যায়, সেই পর্যন্ত কত লোক এলেন।’ নাকতলা উদয়ন সংঘের এক পুজোর কর্তার মন্তব্য, ‘এবার সংখ্যা যে খুব কমবে, তাও বলতে পারছি না। আশপাশের বহু পুজো আদালতের নির্দেশের পরে বন্ধ হতে বসেছে। সেই ভিড়টাই এখানে আসবে।’
বাগবাজার ও শ্রীভূমির মতো দর্শনার্থীদের ঢল নামানো পুজোর কর্তারাও জানাচ্ছেন, ভিড় কম হলেও শূন্য নয়। অন্যবার মানুষের মাথা গোনা যেত না। তাই মোটের উপর খুশি তাঁরা। কিন্তু করোনার বিপদে কি ভিড় করে পুজো দেখা জরুরি? একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোকর্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘লোকে দেখবেন না? আদালত আগে এই ১০ মিটারের কথা জানালে ভালো করে পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করতাম।'