শহরজুড়ে ইডি’র তল্লাশি শুরু হয় শনিবার সকালে। আর এবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ টাকা। এখানেই হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসাররা। সূত্রের খবর, নিসারের দোতলা বাড়ির খাটের তলা থেকে থরে থরে টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। প্লাস্টিকের থলিতে করে মোড়া ৫০০ টাকার একাধিক বান্ডিল মিলেছে। এমনকী মিলেছে ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিলও।
ঠিক কী ঘটেছে গার্ডেনরিচে? আজ, শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ইডি’র তিন প্রতিনিধিদল সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয়। প্রথমে পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি আবাসনে হানা দেয়। সেখানে এক আইনজীবীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তারপর গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি অফিসাররা। তারপর মোমিনপুরে ১৪ নম্বর বিন্দুবাসিনী স্ট্রিটে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও অভিযান চলে। গার্ডেনরিচে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের তলা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, খাটের তলায় প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ৫০০ টাকার বান্ডিলের পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই টাকা গোনার মেশিন আনা হচ্ছে সেখানে। গোটা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে রওনা দিয়েছে আরও কয়েকজন অফিসার। পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা কোনওভাবে কয়লা কিংবা গরু পাচারকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি ইডি অফিসাররা।
কী তথ্য পেলেন ইডি অফিসাররা? শনিবার কলকাতার তিনটি জায়গায় একসঙ্গে অভিযান শুরু করেন ইডির অফিসাররা। পার্ক স্ট্রিটের কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাকি দু’টি অভিযান বন্দর সংলগ্ন এলাকায় এবং গার্ডেনরিচে শাহি আস্তাবল অঞ্চলে চালানো হয়েছে। এই পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের খিদিরপুর–সহ শহরের নানা জায়গায় অফিস রয়েছে। সেখানেও যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইডির। নিসার খানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে পরিচারক এবং পরিচারিকাদের সঙ্গেও। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি।