সিঁথি থানায় পুলিশ হেফাজতে প্রৌঢ় ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই ব্যক্তিকে তাঁর সামনেই পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে দাবি করলেন এক কাগজকুড়ানি। ওই কাগজকুড়নির কাছ থেকেই চোরাই মাল কিনেছিলেন বলে রাজকুমার সাউ নামে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়েরেরও ছাড়পত্র দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল ১১টায় রাজকুমারবাবুকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। এর পর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে দাবি পরিবারের। এমনকী বিদ্যুতের শক দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে কাগজকুড়ানির কাছ থেকে চোরাই মাল কেনার অভিযোগে রাজকুমারবাবুকে তলব করা হয়েছিল তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ও রাজকুমার সাউকে একসঙ্গে পিটিয়েছে পুলিশ। তাতেই রাজকুমারবাবুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ লক আপে রাজকুমারবাবুর মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। পরিবারের তরফে একটি ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে আসার দাবি করা হয়েছে, তাতে রাজকুমারবাবুকে মৃত অবস্থাতেই থানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে।
ওদিকে পুলিশের দাবি, রাজকুমারবাবুর হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। জেরার চাপ সইতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। যদিও পুলিশের দাবি মানতে নারাজ পরিবার। কী ভাবে সিঁথি থানার ভিতর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হল ছাঁট লোহার ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউয়ের? সত্যি জানতে এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় দু’পক্ষ।