একটা সময় ছিল রাজধানী এক্সপ্রেসে যাত্রা করা স্ট্যাটাস সিম্বল। আর তার সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করত ফিশ ফ্রাই, পুডিং আর আইসক্রিম। তবে এই ফিশ ফ্রাই রাজধানীর যাত্রীরা শেষ চেখে দেখেছিলেন ২০১৯ সালের ৩ মার্চ। তারপর থেকে এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হাওড়া থেকে নয়াদিল্লি যাত্রার সময় এই ফিশ ফ্রাইয়ের স্বাদ মিলেছিল। করোনাভাইরাসের জেরে ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি এই পছন্দের ফিশ ফ্রাইও অতীত হয়েছিল। এবার আবার তা ফিরে আসতে চলেছে বলে খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? রেল সূত্রে খবর, এই রাজধানী এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ৷ এবার ৫০ বছরে পা দিয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস৷ অর্থাৎ প্রৌঢ় হওয়ার পথে এগিয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস। তাই এই জন্মদিনকে স্মরনীয় করে রাখতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে স্বাদের ফিশ ফ্রাই। এবার যাত্রীদের বিশেষ মেনু পরিবেশনের সঙ্গে থাকছে গোলাপ, চকলেট এবং বিশেষ পোস্টাল স্ট্যাম্প দেওয়া গ্রিটিংস কার্ডও৷ বন্ধ হয়ে যাওয়া এই তিন পদের মধ্যে ফিশ ফ্রাইকে আবার ফেরানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল? যাত্রীদের সূত্রে খবর, এই ফিশ ফ্রাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর চায়ের সঙ্গে শিঙাড়া বা খাস্তা কচুরি দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা গরম থাকে ঠিকই। কিন্তু তাতে কামড় বসালেই বোঝা যায়, অনেকক্ষণ আগে ভাজা হয়েছে। স্রেফ গরম করে দেওয়া হয়েছে। তাই রাজধানী এক্সপ্রেসের জন্মদিনকে নস্টালজিক করে তুলতে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে সেই ফিশ ফ্রাইকে। যার গন্ধে গোটা কোচ বুঝতে পারবে ভেটকি মাছ দিয়ে তৈরি ফিশ ফ্রাই এসে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং গতির নিরিখে দেশের সেরা ট্রেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। সবুজ পতাকা নেড়ে চালক জিএল টচার–কে ট্রেন ছাড়ার সংকেত দিয়েছিলেন গার্ড এস ও লেভি। ৫০ বছর আগের ওই ট্রেনের মাধ্যমে ভারতীয় রেলের গতিতে বিপ্লব এসেছিল৷ রাজধানী এক্সপ্রেসে সর্বোচ্চ গতি হল ১২০ কিমি৷ সারা দেশে এখন ২৫ জোড়া রাজধানী এক্সপ্রেস চলে। পথ চলার শুরুতে রাজধানী এক্সপ্রেসে যাত্রীদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা হতো। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকত কাস্টার্ড ক্যারামেল। সব যাত্রীদের জন্যই থাকত স্যুপ। রাতের খাবারে ফিশফ্রাই এবং রসগোল্লা। জন্মদিনে সেই মেনু ফিরিয়ে আনছে আইআরসিটিসি। আইআরসিটি’র পূর্বাঞ্চলীয় শাখার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়েছেন জাফর আজম। জোর দিয়েছেন যাত্রীদের খুশি করার উপরে। তাই খোঁজখবর করছেন রাজধানীর সোনালি দিনের সেই ফিশ ফ্রাই নিয়ে।