করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিধি নিষেধ সহ বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বহু জায়গায়। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশ্য করোনাকে নিয়ন্ত্রন করা হলেও তা ভালোভাবে নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। যার ফলে সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে হাওড়া মঙ্গলহাট বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে।
স্থানীয় প্রশাসনের এই নির্দেশের পরেই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভ অবরোধ করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার সমস্ত জেলা জেলা শাসকদের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্নের অনুমতি ছাড়া এবার থেকে বিধি নিষেধ জারি করা যাবে না।
কোনওরকমের বিধি-নিষেধ জারি করতে গেলে সে ক্ষেত্রে আগে নবান্নকে জানাতে হবে। বিধিনিষেধ জারি করতে হবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। সোমবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় প্রশাসন বিধিনিষেধ জারি করা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ সেই সিদ্ধান্তকে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে।
এর ফলে রাজ্য সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সামনেই রয়েছে পুরভোট। তার আগে রাজ্য সরকার যে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে না তা এক প্রকারের স্পষ্ট। সেই কথা মাথায় রেখেই মুখ্যসচিবের এমন নির্দেশ বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। কলকাতায় সংক্রমণের প্রকোপ বেশি হলেও জেলাগুলিতেও উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন পুর এলাকায় মাইক্রো কনটেইমেন্ট এবং কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণার পাশাপাশি বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন। সোনারপুর রাজপুর পুরসভার বাজার, ক্যানিং বাজার দমদম পুর এলাকার বাজার, হাওড়ার মঙ্গলাহাট বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আর তারপরেই বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে নির্দেশ অমান্য করেই বাজার খোলা রাখছেন। তবে কোভিড নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগী হলেও সার্বিকভাবে বিচার করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে নবান্ন।