ভুয়ো আইএএস, ডাক্তার, পুলিশ, সিবিআই আধিকারিক, সরকারি আমলা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক—সবই দেখেছে বাংলা। এবার প্রকাশ্যে এলো ভুয়ো ‘নাসার এজেন্ট’। এই পরিচয় দিয়েই একাধিক ব্যক্তিকে প্রতারণা করেছেন স্মার্ট যুবতী। অভিযোগ, এয়ারপোর্ট এলাকায় এক যুবতী নিজেকে নাসা ও ডিআরডিও’র এজেন্ট পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মধুমিতা সাহা নামে ওই যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কথাবার্তায় তুখোর এই যুবতী। প্রযুক্তিতে চোস্ত। স্মার্ট লেডি। হরিয়ানার বাসিন্দা নরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় মধুমিতা সাহার। মধুমিতা নিজেকে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। এমনকী নাসার এজেন্টও বলেন নিজেকে। সুপার অ্যান্টিক মেটাল ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করে তিনি। এই কথাই বলা হয়েছিল নরেন্দ্র সিংকে। অত্যন্ত কম খরচে এই অ্যান্টিক মেটাল তিনি পাইয়ে দিতে পারেন বলেও দাবি করেছিলেন। পুলিশকে এই অভিযোগ করেছেন নরেন্দ্র।
নরেন্দ্র এই প্রলোভনের ফাঁদে পড়েন। তখন তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকা নেন ওই বঙ্গ–ললনা। নারায়ণপুর থানা এলাকার ডিরোজিও কলেজে এই টাকা লেনদেন হয় দু’পক্ষের মধ্যে বলে অভিযোগ। কিন্তু কোনও জিনিসই ওই ব্যক্তি পাননি। একাধিকবার মধুমিতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। মোবাইল ফোনটি বন্ধ করা ছিল।
তখন প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী ব্যক্তি। নারায়ণপুর থানায় মধুমিতা সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মধুমিতা সাহাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের কাছ থেকে নগদ ২২,০০০ টাকা উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণা–সহ একাধিক ধারায় মধুমিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুক্রবারই ধৃতকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।