করোনার দাপট এখনও পুরোপুরি কমেনি। পুজোর সময় কোভিড বিধি মেনে চলার ব্যাপারেও সরকার থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এসবের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড হেল্প ডেস্কের পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলল সরকার। মূলত এই ডেস্কের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি প্রিয়জনদের সম্পর্কে জানতে পারতেন পরিবারের লোকজন। সরকারের দাবি, চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেকারনেই আপাতত করোনা হেল্প ডেস্কের আর বিশেষ প্রয়োজন নেই বলে মনে করেছে সরকার। আর তার জেরেই তুলে দেওয়া হয়েছে হেল্প ডেস্ক। তবে রোগীর পরিজনদের দাবি, সরকারের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই বাস্তব সম্মত নয়। এখনও প্রচুর করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হেল্প ডেস্ক থাকলে সুবিধাই হয়। কিন্তু এটাই বুঝছে না সরকার। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে রোগীর আপডেট সম্পর্কে জানা যাবে।
এদিকে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, অক্টোবরের প্রথম থেকেই হেল্প ডেস্ক তুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার জেরেই এই হেল্প ডেস্ক তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এর জেরে একেবারে অথৈ জলে পড়েছে রোগীর পরিজনরা। তাঁদের দাবি বার বার ফোন করেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফোন বেজে যাচ্ছে। অথচ ফোন তোলার কেউ নেই। এমনকী পরিস্থিতি এমন হয়ে যাচ্ছে যে হাসপাতালে পৌঁছে বাড়ির লোকজন জানতে পারছেন যে রোগী মারা গিয়েছেন।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৫জন কর্মী কোভিড হেল্প ডেস্কে কাজ করতেন তাঁরাও আর আসছেন না। এদিকে বর্তমানে মূলত চিকিৎসকদের কাছ থেকেই রোগীর সম্পর্কে জানতে পারছেন পরিবারের লোকজন। সেক্ষেত্রে কখন চিকিৎসক আসবেন সেজন্য হাপিত্য়েশ করে বসে থাকতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের।