মাঙ্কিপক্স এখনও হানা দিতে পারিনি রাজ্যে। তবে ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়েছে এই ভাইরাস। তাই মাঙ্কি পক্সের মোকাবেলায় আগেভাগেই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে নির্দিষ্টভাবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলায় একটি করে হাসপাতালকে মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করতে হবে। সেই হাসপাতালে কিছু বেড এই রোগের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে। মাঙ্কি পক্সে সন্দেহভাজন রোগী এবং মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তদের যাতে চিকিৎসা করা যায় তার জন্য এই নির্দেশ। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসার জন্য কিছু আইসোলেশন চিহ্নিত করে রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কলকাতায় ইতিমধ্যেই বেলেঘাটা হাসপাতালে মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড এবং আলাদা ওয়ার্ড চিহ্নিত রাখা হয়েছে। একইভাবে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনকেউ আলাদা করে বেড এবং ওয়ার্ড চিহ্নিত করে রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি। তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ইতিমধ্যেই মাঙ্কি পক্সকে ‘গ্লোবাল ইমারজেন্সি’ ঘোষণা করেছে। তাই মাঙ্কি পক্সকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না সরকার।
এদিকে, মাঙ্কি পক্স নিয়ে কলকাতা পুরসভাও মানুষকে সতর্ক করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করে এবং হোর্ডিং এর সাহায্যে মাঙ্কি পক্স নিয়ে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে রাজ্য সরকার।