মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় অতিক্রম করেছে সবে। আর তারপরই কলকাতা–সহ সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রা ক্রমশ উর্দ্ধমুখী হয়েছে। আরও গরম বাড়বে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও আজই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সুতরাং বাড়ছে গ্রীষ্মের দাপট। সপ্তাহের শেষে আরও চড়বে তাপমাত্রার পারদ। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা এখনই না থাকায় হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় এবং পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়াল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বাধিক ও সর্বনিম্ন পরিমাণ যথাক্রমে ৯৩ এবং ১৮ শতাংশ। ফলে গলদঘর্ম অবস্থা মানুষজনের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও দার্জিলিং–কালিম্পংয়ে আগামী ২৪ ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর ও উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে রাজ্যে ঢোকা শুকনো ও ঠান্ডা বাতাস বঙ্গোপসাগর থেকে আসা উষ্ণ এবং আর্দ্র বাতাসের মুখোমুখি হয়েছিল। তার প্রভাবেই ২২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছিল। ফলে টানা দু’দিন ঝোড়ো হাওয়া বয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। কিন্তু তা কেটে যাওয়্যায় এখন হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে।