পুরোটাই যেন গোলক ধাঁধা। ঠিক কতজন ভুয়ো নিয়োগ হয়েছিল সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধেও ভুরি ভুরি অভিযোগ। এবার সেই ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা খোঁজাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। আর সেই নিরিখে এবার বৈঠকে বসবে এসএসসি।
এবার এসএসসি ভুয়ো নিয়োগের যথার্থ সংখ্যা খুঁজে বের করবে। বুধবার সেই বৈঠকে বসছে এসএসসি। গ্রুপসি, গ্রুপ ডি, নিয়োগ, নবম ও দশম শ্রেণি, একাদশ, দ্বাদশে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা ঠিক কত সেটাই জানার চেষ্টা করছে এসএসসি। এই বৈঠকে এসএসসির আধিকারিকরা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা ও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এদিকে সিবিআই ইতিমধ্যেই ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করেছে আদালতে। সেই রিপোর্টে একেবারে বিস্ফোরক তথ্য় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, কেউ হয়তো বাস্তবে ০, ১ অথবা ৩ কিংবা ৫ পেয়েছিলেন। কিন্তু তারাও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ এসএসসি সার্ভারেই তাদের প্রাপ্ত নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে। এসএসসির সার্ভার রুম থেকে এমন তিনটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, আসলে সার্ভারেই নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনও হয়েছে একেবারে ফাঁকা ওএমআর শিট। কিছুই লেখেননি প্রার্থী। অথচ তাকে ৫০ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন. এই সমস্ত বেআইনী প্রার্থীরা তাদের চাকরি হারাবেন। সিবিআইকে সেই নামগুলো জানানোর কথাও বলা হয়। এদিকেও এসএসসিও আদালতে জানায়, সিবিআই যদি সেই নামগুলো জানায় তবে দেখা হবে তারা কোথাও কাজ করছে কি না। এবার ভুয়ো নিয়োগের সিবিআইয়ের তালিকার সঙ্গে এসএসসির তালিকার কতটা মিল থাকে সেটাই দেখার।