হাতে আর কয়েকটা দিন। তারপরেই কালীপুজো। কিন্তু তার আগে থেকেই বাজারে গিয়ে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে। কারণ পেট্রোল–ডিজেল দুটোই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারে। দাম আকাশছোঁয়া বেড়ে গেল শাক–সবজি, মাছ এবং পোলট্রির ডিমের। এই পরিস্থিতিতে বাজারে গিয়ে অনেককেই মাথা চুলকাতে দেখা যাচ্ছে। কারণ কোনটিতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না।
শহরের প্রতিটি বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। শুক্রবার জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা প্রতি কেজি দরে। আর চন্দ্রমুখী আলু শুক্রবার বিক্রি হল ২৪ থেকে ২৫ টাকা/কেজি দরে। নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা/কেজি দরে। আলু বিক্রেতাদের বক্তব্য, গত একসপ্তাহে হঠাৎই বেড়েছে আলুর দাম। জ্বালানির প্রতিনিয়ত দামবৃদ্ধির ফলেই সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আরও দাম বাড়বে সবজির। ঠেকানো যাবে না।
অন্যান্য সবজির দাম কত? বাজার ঘুরে সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাঁধা কপি ৪০ টাকা/কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা পিস, ঢ্যাঁড়স ৭০ টাকা/কেজি, পটল ৬০ টাকা/কেজি। ঝিঙে ৬০ টাকা/কেজি, বরবটি ৮০ টাকা/কেজি, বেগুন ৮০ টাকা/কেজি, টমেটো ৬০ টাকা/কেজি, শসা ৪০ টাকা/কেজি, উচ্ছে ৮০ টাকা/কেজি। এই এত দাম কয়েকদিন আগেও ছিল না। তাই এখন বাজারের ব্যাগ ভরছে না, কিন্তু টাকা কচ হয়ে যাচ্ছে বিপুল।
একইসঙ্গে দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের। একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ৯২৬ টাকায়। তার উপর শাক, সবজি, মাছ ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে। পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে। এখন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। পোল্ট্রির ডিম শুক্রবার বিক্রি হল ৬ টাকা/পিস। কোথাও কোথাও ৭ টাকা পিস দামও চাওয়া হয়েছে বলে খবর। কাটাপোনা মাছ শুক্রবার বিক্রি হল ৩৫০ টাকা/কেজি দরে। যা ভাবিয়ে তুলেছে মধ্যবিত্ত মানুষজনকে।