অর্জুনপুর আমরা সবাই এবং টালা প্রত্যয়ে পর সংরক্ষণ করা হবে চালতাবাগান সর্বজনীনের পুজো। এই প্রতিমাগুলি রাখা থাকবে আলিপুর জেল মিউজিয়ামে। সেখানেই সাধারণ মানুষ প্রতিমাগুলি দেখতে পাবেন।
পুজোর ৭৯ বছরে যন্ত্র শিল্পীদের কুর্নিশ জানিয়েছিল চালতাবাগান। প্রতিমা বানিয়েছিলেন, সুবল পাল। সেই প্রতিমাই সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৭ অক্টোবর রেড রোডের কার্নিভালে হাজির করা হয় চালতাবাগানের প্রতিমা। সেই প্রতিমা দেখে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নটরাজের আদলে পিতল রঙের প্রতিমাকে দেখে মনেই হবে না যে সেটি মাটির তৈরি। তিনি প্রতিমাটি সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। চালতাবাগান সর্বজনীনের সম্পাদক মৌসম মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কার্নিভালের সময় মুদ্ধ চোখে প্রতিমার দিকে তাকিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে খবর পাঠান সংগঠনের কাছে। তাঁর কথায়,'মন্ত্রী এসে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন প্রতিমা সংরক্ষণ করা হোক। শুনে আমরা বিপাকে পড়ে যাই।'
(পড়তে পারেন। ফুচকার মণ্ডপ যাচ্ছে চন্দননগর, আর কোন থিমের গন্তব্য কোথায়?)
কারণ, ইতিমধ্যেই ঠিক রয়েছে প্রতিমা বিসর্জন হবে। সেই মতো সব প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছে। তার মাঝে মুখমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। ওই দিন ক্লাব কর্তারা বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে প্রতিমা রাখা হবে আলিপুর জেল মিউজিয়ামে।
ক্লাব কর্তাদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে সম্মানের। ক্লাবের তরফ মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। হিডকো পরিচালিত আলিপুর জেল মিউজিয়ামে এবার তিনটি প্রতিমা রাখা হবে। এর আগে আমন্ত্রণ পেয়েছে অজুর্নপুর আমরা সবাই এবং টালা প্রত্যয়। এবার আমন্ত্রণ পেল চালতাবাগান।