ইতিমধ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ে করোনা টিকাকরণের সম্পন্ন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। একেবারে সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে টিকা। এর পরের তালিকায় রয়েছেন পুলিশকর্মী, পুরকর্মী, সাফাইকর্মীরা। কিন্তু সাধারণ মানুষকের সরকারের তরফ থেকে কবে থেকে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন? এই প্রশ্নই রয়েছে অনেকেই মনেই। এবার সেই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করার ইঙ্গিত দিলেন কলকাতার পুরসভার প্রধান প্রশাসক তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রবিবার চেতলায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উপস্থিত হয়ে তিনি ভ্যাকসিনের জন্য সাধারণ মানুষের নাম নথিভুক্তকরণের ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, আগামীকাল, সোমবার থেকেই এই কাজ শুরু হবে কলকাতায় তাঁর মেয়র্স ক্লিনিক থেকে। তবে এখনই কমবয়সীদের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হবে না। ফিরহাদ বলেন, ‘যাঁদের বয়স ৫০–এর বেশি তাঁরা নিজের নাম লিখিয়ে নেবেন। তা হলে সেটা আমরা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেব, যাতে ওই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।’
ফিরহাদ হাকিম এদিন বলছিলেন, ‘আমি চাই যাতে সাধারণ মানুষের জন্যও ভ্যাকসিন দেওয়া তাড়াতাড়ি শুরু করা হোক। কাল, সোমবার থেকে মেয়র্স ক্লিনিকে একটা কাউন্টার করব। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক তাঁরা সেখানে নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন।’ কবে মিলবে ভ্যাকসিন? ফিরহাদের কথায়, ‘তবে নাম নথিভুক্ত করলে পরশুদিনই ভ্যাকসিন পাবেন তা কিন্তু নয়। হয়তো ফেব্রুয়ারিতে পাবেন। সময় আছে এখনও। কিন্তু সোমবার থেকেই নাম নথিভুক্ত করা শুরু হবে।’
তিনি এদিন আরও বলেন, ‘যুব সমাজকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ, আমার মেয়েরও কোভিড হয়েছিল। নিজে নিজেই ঠিক হয়ে গেল। আমার মতো যাঁরা বয়স্ক তাঁরা একটু রিস্ক জোনে রয়েছেন।’ পশ্চিমবঙ্গের করোনা চিত্র আশাবাদী বলে ফিরহাজ জানান, ‘বাংলায় এখন করোনা অনেক কমে গিয়েছে। এখন আমাদের কোভিড হাসপাতালগুলো প্রায় ফাঁকা। কিছু কিছু হাসপাতালে কোভিড বেড ফিরিয়ে জেনারেল বেড করে দেওয়া হচ্ছে। সেফ হোমগুলো তুলে দিয়েছি। বাংলার জন্য সুখবর, এখানে কোভিড নিজে নিজে চলে যাচ্ছে।’