রবীন্দ্রভারতীর পাশাপাশি এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। রবিবার মধ্যরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই তালিকায় ছিল কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নামও। আপতত একসঙ্গে তিনি দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
তাঁর মতো জোড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি। তিনি বারাসাতের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন করে ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগে নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করে, তাঁদের তোয়াক্কা না করে, রাজ্যপাল একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কখনও সেই উপাচার্যকে তিনি নিজেই বিতাড়িত করছেন, কখনও আবার তিনি নতুন উপাচার্য নিয়ে আসছেন। কখনও তাঁকেও আবার তাঁর পছন্দ হচ্ছে না।'
(পড়তে পারেন। শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে থাকা রাজ্যের শিক্ষাকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর রাজ্যপাল: ব্রাত্য)
(পড়তে পারেন। যাদবপুরে ইউজিসির প্রতিনিধিদল, ‘রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বলে পরিদর্শনে এসেছে এমনটা নয়’, বলছেন উপাচার্য)
ধনখড় জমানার কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘জগদীপ ধনখড় যে সময়ে রাজ্যপাল ছিলেন, তখন অন্ততপক্ষে আলোচনার পরিসর ছিল। কিন্তু এখনকার রাজ্যপাল তো জেমস বন্ডের মতো আচরণ করছেন। বর্তমান রাজ্যপাল জেমন বন্ডের মতোই নিঃশব্দ প্রহেলিকার মতো কাজ করে চলেছেন।’
রবীন্দ্রভারতীর দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। আপাতত তিনি বাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সামলাচ্ছেন। এবার তাঁকে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব তুলে দিলেন রাজ্যপাল।