যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মধ্যেই রেজিস্টার এবং জয়েন্ট রেজিস্টারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল অধ্যাপক রানা রায়ের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে নতুন করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অন্য একটি মামলায় তাঁকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের হোটেল থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। যদিও পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে কোচবিহার এবিএন শীল কলেজে কাজে যোগ দিতে যান অধ্যাপক রানা রায়। কিন্তু তাঁকে পডুয়াদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
এদিকে কাজে যোগ দিতে এবিএন শীল কলেজে এসে অধ্যাপক রানা রায় অধ্যক্ষের ঘরে যান। কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন করতেই অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, যেহেতু তিনি মেডিকেল লিভে রয়েছেন, তাই কাজে যোগ দেওয়ার আগে তাঁকে ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এটাই নিয়ম। আর ফিটনেস সার্টিফিকেট তাঁর না থাকায় কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাতে তাঁর ক্ষোভ বেড়ে যায়। কিন্তু চুপচাপই ছিলেন। আর নানা জায়গায় ফোন করেন।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা অধ্যাপক রানা রায় সম্পর্কে সব তথ্য জোগাড় করে ফেলেন। তাই অধ্যাপক রানা রায় কলেজে ঢুকতেই ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁকে দেখেই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা গো–ব্যাক স্লোগান দেন। তাতে সরগরম হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। কিন্তু সব কিছু দেখে মাথা ঠাণ্ডা করে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভকে কার্যত এড়িয়ে গিয়ে রানা রায় সোজা অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে যান। তখনও পড়ুয়াদের গো ব্যাক স্লোগান চলতে থাকে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন রানা রায়।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল, গণনায় কারচুপির আশঙ্কা বিজেপির
ঠিক কী বলেছেন অধ্যাপক? এই ঘটনার পর অধ্যাপক বেরিয়ে আসেন। আর তারপর সাংবাদিকদের রানা রায় বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হবে না। কারণ সমস্ত অভিযোগই সঠিক নয়। আমি মাঝে অসুস্থ ছিলাম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে কোনও চিঠি আমি লিখিনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি ইস্তফা দেব। আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার শিয়ালদা কোর্টে আসলে বুঝতে পারবেন কে চক্রান্ত করেছে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলব, গো ব্যাক বলার আগে বলব, আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকির চিঠি দেওয়ার অভিযোগে যাদবপুর থানায় একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।